বঙ্গোপসাগরে ৩২ ট্রলারে ডাকাতিঃ মুক্তিপনের দাবিতে ৪ ট্রলারসহ অর্ধশত জেলে অপহরণ
বরগুনা, ১১ জুলাই (মনির হোসেন কামাল/আমিন সোহেল): বরগুনার পাথরঘাটা থেকে ৬০ কিলোমিটার পূর্ব দক্ষিনে বঙ্গোপসাগরের কচিখালী ও নারিকেলবাড়িয়ার মধ্যচর এলাকায় জলদস্যুরা জেলে বহরের ৩২টি মাছ ধরা ট্রলারে ডাকাতি করেছে। এসময় জলদস্যুরা ট্রলারের যত্রাংশ, মাছ, জাল এবং নগদ টাকাসহ অর্ধ কোটি টাকার মালামাল লুটে নিয়েছে। এসময় জলদস্যুরা মুক্তিপনের দাবিতে চারটি ট্রলারসহ ৪৭ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। জলদস্যুদের হামলায় ১৩ জেলে আহত হয়েছে। আহত জেলেরা পাথরঘাটা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। ডাকাত কবলিত ট্রলার মালিক ও জেলেদের বাড়ি পিরোজপুর ও বরগুনা জেলার বিভিন্ন থানায়। ১১ জুলাই দুপুরে মুক্তিপ্রাপ্ত ৩২ ট্রলারের জেলেরা পাথরঘাটা ফিরে এসে এ তথ্য জানিয়েছে।
অপহৃত ট্রলার মালিক ও ফিরে আসা জেলেদের বরাত দিয়ে ১১ জুলাই সোমবার বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী এ খবর নিশ্চিত করেছেন। অপহৃত ট্রলারের মধ্যে পাথরঘাটার এফবি খাদিজা, এফবি সেভেন ষ্টার, এফবি আল্লার দান, এফবি মায়ের দোয়ার নাম জানা গেছে। অপহৃত জেলেদের মধ্যে আবদুল আলিম, নুর আলম, হারুন মাঝি, মোশারেফ মাঝি, ছগির মাঝি, লাল মিয়া ও মিজান সরদারের নাম জানা গেছে।
বরগুনা জেলা ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল মান্নান মাঝি জানান, বঙ্গোপসাগরে এসব ট্রলার মাছ ধরে কচিখালী ও নারিকেলবাড়িয়ার মধ্যচর এলাকায় কাছাকাছি রাতে অবস্থান করছিল। ১০ জুলাই রাত ৯ টার দিকে সুন্দরবনের ২৫/৩০ জনের সংঘবদ্ধ জলদস্যু বাহিনী ২টি ট্রলারে এসে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এলোপাথারি মারপিট শুরু করে। তারা রাত ৪টা পর্যন্ত লুটতরাজ চালায়। এসময় ১৫/২০ জন জেলে সাগরে লাফিয়ে পরলে ১২ ঘন্টা পর সকালে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহৃত জেলেদেরকে মুক্তিপণের জন্য মাথাপিছু ১ লক্ষ টাকা করে দাবী করা হয়েছে। তাছাড়া ট্রলারগুলোর জন্য জলদস্যুরা প্রত্যেক মালিকের কাছে তাদের খাবারের জন্য রসদ সামগ্রী দাবী করেছে এবং ৩ দিনের মধ্যে ট্রলারগুলো ও জেলেদের ছাড়িয়ে না আনলে ট্রলারের যন্ত্রাংশ বিক্রি করা হবে ও জেলেদের হত্য করা হবে বলে জানিয়েছে।
বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, গত ১৫ দিনে এনিয়ে ৫ ট্রলারসহ ১৫৭ জেলেকে মুক্তিপনের দাবীতে জলদস্যুরা আটকিয়ে রেখেছে।
–
(আমাদের বরিশাল ডটকম/বরগুনা/মহো/আসো/তাপা)
সম্পাদনা: সেন্ট্রাল ডেস্ক |